বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আর চিন্তা নয় আপনারা এই আর্টিকেল থেকে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার এবং বাগেরহাট হোটেল ভাড়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জেনে নেই।
বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার
আপনারা যদি বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার এবং বাগেরহাট জেলার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার

ভূমিকা

প্রিয় ভিজিটর আপনারা নিশ্চয়ই আজকে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেজন্য আপনারা এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাই আপনারা বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলে আমরা বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার ছাড়া বাগেরহাট হোটেল ভাড়া বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খাবার বাগেরহাট জেলার সম্পর্কে কিছু তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

বাগেরহাট জেলায় রয়েছে অনেক বিখ্যাত স্থান এবং বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এছাড়াও রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। বাগেরহাট জেলাতে রয়েছে অনেক বড় বড় মসজিদ যা খুবই আকর্ষণীয় এবং দর্শনীয়। এগুলো সকল কিছু পর্যটকদের মনকে আকর্ষণ করে তোলে এজন্য বারবার এই জায়গাতে আসার জন্য বাধ্য হয়। আর পর্যটকদের আসার আরো ভালো কারণ হচ্ছে এই জায়গায় পাওয়া যায় সুস্বাদু ও বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার দর্শকদের মনকে কেটে নেওয়ার মতো খাবার।

আরো পড়ুনঃ বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে করণীয়

তো আপনাদের এখন অবশ্যই মনে হচ্ছে যে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার গুলো কি। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক বাগেরহাটের বিখ্যাত খাবার গুলো কি কি। এজন্য আপনাকে মনোযোগ সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

বাগেরহাট হোটেল ভাড়া

বাগেরহাট জেলায় রয়েছে আজমল হোটেল। এই হোটেলের আপনার রাত্রি ভাড়া হচ্ছ.৬২৮ টাকা। এখানে পেয়ে যাচ্ছেন আপনি সুন্দর মানের এবং উন্নত শীল হোটেল। এখানে রয়েছে ফ্রি পার্কিং, হাই স্পিড ওয়্যারলেস এবং ফুল স্পিড ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর সংযুক্ত প্রত্যেকটি ঘর।

হোটেল আম্বাসসাদর এটি বাগেরহাট জেলার খুবই সুন্দর ও উন্নত মানের হোটেল। হোটেলটি খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হোটেলের রয়েছে এসি রুম নন এসি রুম এছাড়াও এয়ার কন্ডিশনার রুম যার ফলে আপনি খুবই আরামদায়কভাবে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। এই হোটেলে রাত্রি যাপনের জন্য আপনাকে একেক রাতের জন্য ১০০৫ টাকা করে দিতে হবে। এ হোটেলে এছাড়াও আপনি পেয়ে যাচ্ছেন ফ্রী পার্কিং প্রতিটি রুমে হাই স্পিড এর ইন্টারনেট যা আপনার রাত্রিযাপনের জন্য খুবই উপকারিতা হয়ে থাকবে।

আরো একটি হোটেল রয়েছে সেটির নাম হচ্ছে নিউ হোটেল গ্লোরী। সকল হোটেলের থেকে বাগেরহাট জেলার এ হোটেলটি হচ্ছে খুবই বিখ্যাত এবং সৌন্দর্যময় ও উন্নতশালী হোটেল এই হোটেলে আপনি উপরের সকল হোটেলের মতোই সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন। তবে এর রাত্রিযাপনের জন্য আপনাকে কিছুটা বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। কারণ এটি একটি বিলাসবহুল হোটেল। প্রতি রাত্রে জাগনের জন্য আপনাকে এই হোটেল ভাড়া দিতে হবে ১ হাজার ২২৪ টাকা।

বাগেরহাট হোটেল ভাড়া সম্পর্কে আজ আমরা এই তিনটি হোটেলের ভাড়া উল্লেখ করলাম. যদি আপনাদের আরো কোন বাগেরহাট হোটেল ভাড়া অর্থাৎ আরো বাগেরহাটের হোটেলের সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন আমরা খুব শীঘ্রই আপনাকে এর সমাধান দিয়ে দেব।

বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খাবার

বাগেরহাট জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের কথা মনে হলে সবার আগে মনে হয় চুইঝালের সম্পর্কে। এই চুই ঝাল দিয়ে খাসির মাংস অথবা গরুর মাংস এর নামে বিখ্যাত। এই চুই ঝালের মাংস শুধু খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলাগুলোতেই পাওয়া যায়। এই চুই ঝাল অর্থাৎ চুই মসলাটি পুরো বাংলাদেশ একটি অপ্রচলিত মসলা। এই মসলাগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে চাষ করা হয়। যেমন, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, যশোর, নড়াইল ইত্যাদি এই সকল অঞ্চলগুলোতে চাষীদের কাছে এটি একটি অর্থকারী মসলা চাষ।

এছাড়াও বাগেরহাট জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে কলের সেমাই পিঠার সঙ্গে হাঁসের মাংস। এটি বাগেরহাট জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যা বাগেরহাট জেলার সফল হোটেলগুলোতে আপনি পেয়ে থাকবেন।

বাগেরহাট কেন বিখ্যাত

বাগেরহাট অঞ্চলটি বিশেষ করে সুপারি ও চিংড়ি মাছ এবং শালাষাট গম্বুজ মসজিদের জন্য বিখ্যাত। এই বাগেরহাটে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান যা পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। বাগেরহাট জেলা বিশেষ করে ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং বড় বড় মসজিদ এর জন্য অনেক বেশি প্রাচীনকাল থেকে এটি বিখ্যাত। এছাড়াও এই বাগেরহাট জেলাতেও রয়েছে বাংলাদেশের সব থেকে বড় বন সুন্দরবন।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কি

বাগেরহাট চিংড়ি মাছ এবং সুপারির জন্য বিখ্যাত হিসেবে খ্যাত অর্জন করে। কারণ এই অঞ্চলে পুরো বাংলাদেশের থেকে এই জেলাতেই অনেক বেশি চিংড়ি মাছ এবং সুপারি উৎপাদিত হয়। এবং এই জেলার চিংড়ি মাছের মত কোন জেলাতে সেই চিংড়ি মাছের স্বাদ পাওয়া যায় না। এজন্য বিশেষ করে ষাট গম্বুজ মসজিদের পড়ে চিংড়ি মাছ এবং সুপারির জন্য বাগেরহাট বিখ্যাত।

বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার

বাগেরহাট জেলা বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে অবস্থিত। এই বাগেরহাট অঞ্চলটি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এর বাগেরহাট জেলায় রয়েছে অনেক বিখ্যাত স্থান যা দেখতে প্রতিবছর অনেক পর্যটক দেশ-বিদেশ থেকে দেখতে ভিড় জমায়। বাগেরহাটে যে কয়টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে সবগুলোই হচ্ছে অনেক ঐতিহ্যময় ও প্রাচীনকালের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। যা পর্যটকদের মনকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

তেমনই রয়েছে এই অঞ্চলে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ যা বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত। কেউ রয়েছেন চলচ্চিত্র জগতের আবার কেউ রাজনৈতিক নেতা এবং কেউ রয়েছেন উপন্যাসিক ও ঐতিহাসিক নাটক সংক্রান্ত এবং রয়েছেন অনেকেই রাজশাহী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এই অঞ্চল ঘিরে রয়েছে অনেক দর্শনীয় এবং বিখ্যাত স্থান সকল দর্শনীয় ও বিখ্যাত স্থানের মধ্যে বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ মসজিদ সবথেকে বিখ্যাত এবং দর্শনীয়।

এছাড়াও বাগেরহাট জেলাতে রয়েছে বিখ্যাত খাবার। দেশের প্রতিটি জেলাতে তাদের নিজস্ব একটি বিখ্যাত খাবার থাকে। সেই রকমই বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার রয়েছে। আজকের মূল টপিক হচ্ছে এটাই যে আপনারা বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার গুলো কি। এই জেলার বিখ্যাত খাবারগুলো কথা মনে আসলেই সবার প্রথমে মনে হয় চুই ঝালে খাসির মাংস অথবা গরুর মাংস। এটি এক নামে পরিচিত বাগেরহাট জেলাগুলোতে চুই ঝাল মসলা বাংলাদেশে এটি অপ্রচলিত মসলা।

এই খাবার শুধু বাগেরহাট জেলা এবং বাগেরহাট জেলার কয়েকটি আশেপাশের জেলাগুলোতে অর্থাৎ খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলাগুলোতে লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগেরহাটে আরও বিখ্যাত খাবার রয়েছে যেমন কলের সেমাই পিঠা এর সঙ্গে হাঁসের মাংস

বাগেরহাট কোন নদীর তীরে অবস্থিত

বাগেরহাট একটি অনেক প্রাচীন ও ঐতিহ্য সম্পূর্ণ স্থান। বাগেরহাট মধুমতি নদীর তীরে এবং বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। বাগেরহাট জেলার সদরের ভৈরব নদীর অধিকাংশ পশ্চিম তীরে এবং এই শহরটি ভৈরবের দক্ষিণ প্রবাহের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এই এলাকাটিতে অনেক শিল্পবিপ্লব রয়েছিল এই মধুমতি নদীকে ঘিরে। যা বর্তমানে আর লক্ষ্য করা যায় না। তবে এখন বাগেরহাট জেলাটি বড় বড় অট্টলিকা বিশিষ্ট অনেক মসজিদ এর জন্য বাগেরহাট জেলাটি বিশিষ্ট। বাগেরহাট জেলাটি পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার পশ্চিমে খুলনা জেলাতে মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত।

শেষ কথা

প্রিয় ভিজিটর আশা করতে পারি যে এতক্ষণে আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এবং বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার এবং বাগেরহাট হোটেল ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে বাগেরহাট জেলার আরো বিভিন্ন তথ্য দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এ আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। বাগেরহাট জেলাতে খুবই ঐতিহ্যপূর্ণ ও বিখ্যাত খাবার তাদের অনেক অর্থকারে মসলা। আপনারা যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ না পড়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনারা বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার এর সম্বন্ধের তথ্যগুলো মিস করে যাবেন।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কি

এজন্য আপনারা মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন। প্রিয় পাঠক আর কথা না বাড়িয়ে সেখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে ততক্ষণ ভালো থাকবেন। এবং যদি আপনাদের বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে কোন তথ্য জানার থাকে এছাড়াও যদি কোন সমস্যা বা ভুল ত্রুটি আমাদের থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন। সর্বশেষ আরেকটি কথা বলতে চাই প্রিয় পাঠক আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা আপনাদের জন্য নিত্য নতুন মানসম্মত আর্টিকেল নিয়ে হাজির হতে পারি।@26224

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url