আইপিএস কিভাবে কাজ করে

আমরা প্রায় অনেকেই আইপিএস ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আইপিএস কিভাবে কাজ করে তা আমরা অনেকে জানিনা। আইপিএস কিভাবে কাজ করে এই বিষয়টি জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজকে আমরা আলোচনা করব আইপিএস কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে।
বাসা বাড়িতে, প্রতিষ্ঠানে, কল কারখানায় ও বিভিন্ন জায়গায় আমরা আইপিএস ব্যবহার করে থাকলেও আইপিএস এর কাজ করার ধরন সম্পর্কে জানিনা। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখার মূল উদ্দেশ্য হল আইপিএস কাজ কিভাবে করে তা আপনাদের জানানো।

পোস্ট সূচীপত্র | আইপিএস কিভাবে কাজ করে 

আইপিএস কেনার আগে যা জানতে হবে

আইপিএস কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। নয়তো আমরা ভালো মানের আইপিএস কিনতে পারবো না এবং ভালো সার্ভিস পাব না। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু আইপিএস কিভাবে কাজ করে এই বিষয়টি হলেও আমরা আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আমাদের পোস্টে আলোচনা করব। আপনি যদি সোলার আইপিএস কিনেন তাহলে আপনার কোন বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন নেই। আর যদি বৈদ্যুতিক আইপিএস ক্রয় করেন তাহলে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন আছে।
সেক্ষেত্রে অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে আইপিএস এর বিদ্যুৎ ক্ষমতা কতটুকু। স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত কারেন্ট গ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। কিছু আইপিএস আছে যেগুলো যতটুকু আউটপুট দিবে তার থেকে বেশি পরিমাণে ইনপুট গ্রহণ করে। এ ধরনের আইপিএস কিনলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। আইপিএস কেনার আগে অবশ্যই পাওয়ার ক্ষমতা, ফিচার এবং ওয়ারেন্টি কার্ড দেখে কিনতে হবে। 

আইপিএস এর বর্তমান বাজার মূল্য

আপনি যদি খুবই ভালো মানের একটা আইপিএস কিনতে চান তাহলে হয়তোবা আপনার বাজেট একটু বেশি লাগতে পারে। কিন্তু আপনি যদি মধ্যম মানের আইপিএস কিনতে চান তাহলে অনেক কম টাকায় পাবেন। মধ্যম মানের একটা নতুন আইপিএস এর দাম পড়বে ২০০০০ থেকে ২৩০০০ টাকা। এছাড়া আপনি যদি আরো ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন আইপিএস কিনতে চান তাহলে আপনার দাম পড়বে ৩০ হাজার টাকার উপরে। আইপিএস এবং ব্যাটারির ব্র্যান্ড অনুযায়ী দামের কম বেশি হয়। 

আইপিএস কিভাবে কাজ করে

যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষ প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উৎপাদন হচ্ছে। কালের বিবর্তনে মানুষ সভ্যতার যুগ থেকে চলে এসে আধুনিক যুগে বিশ্বকে করে নিয়েছে হাতের মুঠোয়। আইপিএস কিভাবে কাজ করে এই বিষয়টি আমরা অনেকে জানিনা হয়তো। আইপিএস হলো ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই অর্থাৎ কারেন্ট চলে যাওয়ার সাথে সাথে আপনাকে কিছুক্ষনের জন্য বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ করে। ফ্যান লাইট চালানো যায়। আইপিএস এর মধ্যে থাকে একটা আইপিএস মেশিন এবং ব্যাটারি।
আইপিএসকে কারেন্টের মেইন লাইনের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। যখন কারেন্ট থাকে তখন আইপিএস ব্যাটারীতে চার্জ সঞ্চিত করে রাখে। কারেন্ট চলে যাওয়ার সাথে সাথে আইপিএস ব্যাটারীতে সঞ্চিত রাখা চার্জকে ডিসি থেকে এসিতে রূপান্তর করে কারেন্ট প্রবাহ করে। মধ্যম মানের একটা আইপিএস এর সার্ভিস টাইম ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

বর্তমানে আইপিএস এর ব্যবহার

বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় আইপিএস এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায। বিশেষ করে বড় বড় শিল্প কারখানা, অফিস আদালত, ফ্যাক্টরি, ট্রেনিং সেন্টার ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইপিএস এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া বর্তমানে বাসা বাড়িতে আইপিএস এর ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া আর একটা বিষয় না বললেই নয়, যারা অনলাইনে কাজ করেন, সব সময় ল্যাপটপ কম্পিউটার নিয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে আইপিএস এর ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়।
আইপিএস কিভাবে কাজ করে তা আমার উপরে আলোচনা করেছি। বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আইপিএস এর ব্যবহার অনেক। তবে আইপিএস এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বড় বড় শিল্প কলকারখানায়।

শেষ কথা | আইপিএস কিভাবে কাজ করে 

প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আইপিএস কিভাবে কাজ করে। আমাদের আর্টিকেলে এ বিষয়টি আমরা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছি। কোন বিষয়বস্তু বুঝতে যদি আপনাদের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। নিত্য নতুন বিভিন্ন ধরনের টিপস জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ। জব আইডি ২৫৫৯১.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url