ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম - ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম অসংখ্য। যদি আপনি ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি পড়তে পারেন। এই পোস্টে ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। উজলহাটি, পলাশকান্দি, মির্জাপুর, ঈশ্বরগঞ্জ সহ আরও অসংখ্য গ্রাম রয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, গফরগাঁও, গৌরীপুর, তারাকান্দা, ত্রিশাল, ধোবাউড়া, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, হালুয়াঘাট সহ যেই সকল গ্রাম রয়েছে সেখানে খুবই নান্দনিক পরিবেশ বিদ্যমান। এই গ্রামগুলোতে যেই পরিমাণে জনসংখ্যা রয়েছে সে সকল মানুষের স্বাক্ষরতার হার বেশি। পূর্বে এই ময়মনসিংহ শহরের নাম ছিল নাসিরাবাদ।
পেইজ সূচিপত্র
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম
ময়মনসিংহ জেলায় অসংখ্য গ্রাম রয়েছে যার মধ্যে ফুলবাড়িয়া একটি। এই ফুলবাড়িয়া ছাড়াও প্রায় আরোও অন্যান্য গ্রামের নাম তারাকান্দা, বানিহালা, কাকনী, গালাগাঁও, বালিখা, ঢাকুয়া, রামপুর, কামারিয়া, কামারগাঁও, ত্রিশাল, রসুলপুর, বারবাড়িয়া, চর আলগী এবং সালটিয়া রয়েছে।
এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম এর মধ্যে যশরা, রাওনা, মশাখালী, পাঁচবাগ, গৌরীপুর, রাজিবপুর, মগটুলা, আঠারবাড়ী, জাটিয়া এবং মাইজবাগ বিদ্যমান। ফুলবাড়ীয়া ছাড়াও ফুলবাড়ী ফুল চৌকি নামে পরিচিত। কারণ এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। ফুলবাগিচায় প্রতিটি গ্রামের সজ্জিত বাড়ি দেখতে খুবই মনোরম।
আরও পড়ুনঃ নবান্ন উৎসব কোন ঋতুতে অনুষ্ঠিত হয়
রাজ পুরুষগণ এই সকল গ্রামে পূর্বে শিকার ভ্রমণ বা বিনোদনের প্রয়োজনে ব্যবহার করতেন। যেমন পূর্বে লক্ষণ সেনের ভাওয়াল তাম্রলিপিতে অস্থায়ী শাসন কেন্দ্র হয়েছিল। ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি জানলে বুঝতে পারবেন, ময়মনসিংহ জেলায় ফুলবাড়ীয়া ছাড়াও দাপুনিয়া নামে একটি গ্রাম রয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম। এর নামকরণ এরপর থেকে এলাকায় একসময় ফুলকুঁড়ি নামে ডাকা হতো। এক রকম লম্বা খড় জাতীয় বৃক্ষ জন্মাতো যা দিয়ে এই ফুলখড়ি তৈরি হতো। সেই ফুলখড়ি গাছের নাম থেকেই এই গ্রামের নাম ফুলবাড়ীয়া হয়।
ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষার হার কত
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম এর ফলে ময়মনসিংহ জেলাকে শিক্ষানগরী বলা হয়। কারণ ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি জেনে এই ময়মনসিংহ শহরে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং নামকরা স্কুল রয়েছে অসংখ্য।
এছাড়াও রয়েছে গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, শারীরিক শিক্ষা কলেজ, আর্ট স্কুল, চারুকলা স্কুল এবং মাদ্রাসাসহ আরও অনেক ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষার হার কত সেই বিষয়ে চলুন জেনে আসি।
- ময়মনসিংহ জেলাতে শিক্ষার হার মাত্র ৩৯.১০% ডিসি ময়মনসিংহ এর সূত্র অনুসারে পাওয়া যায়।
- এই জেলায় সরকারি ও রেজিস্টার স্কুল রয়েছে প্রায় ১৮৬৯ টি।
- ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষার হার কত জানলে বুঝবেন অন্য জেলার তুলনায় এখানে অনেক বেশি স্কুল রয়েছে।
- যদিও শিক্ষার হার একটু কম পাওয়া যায় এখানে কিন্তু সদর অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা একটু ঢাল।
- এখানে বেসরকারি রেজিস্টার্ড বিদ্যালয় রয়েছে এবং সাতটি উচ্চ বিদ্যালয় এর সংলগ্নে রয়েছে দুইটি। কিন্ডারগার্টেন একুশটি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ষোলটি এবং নবম শ্রেণীর অনুমতি প্রাপ্ত বিদ্যালয় ষোলটি।
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় চল্লিশটি এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আটটি এর মত।
- এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম সম্পর্কে জানলে বুঝবেন এখানে রয়েছে একটি ডিগ্রী কলেজ।
- পাশাপাশি ফাজিল মাদ্রাসা সাতটি, আলিম মাদ্রাসা একটি এবং দাখিল মাদ্রাসা প্রায় তেতাল্লিশটি এর মত।
ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি
ময়মনসিংহ জেলা পূর্বের ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বর্তমানে এটি একটি বিভাগ হয়েছে। তবে এই ময়মনসিংহ জেলায় রয়েছে অসংখ্য থানা। যা জানলে আপনি ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম খুব সহজেই মনে রাখতে পারবেন। ময়মনসিংহ জেলায় প্রায় তেরটি থানা এর মত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নবান্ন উৎসব বলতে কি বুঝায় জানুন
ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি জানা থাকলে বুঝতে পারবেন এর মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা, গৌরীপুর, তারাকান্দা, ত্রিশাল বিদ্যমান। এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি জেনে আপনি ময়মনসিংহ সদর, হালুয়াঘাট, ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া, ফুলপুর, নান্দাইল এবং ধোবাউড়া যেতে পারেন।
ময়মনসিংহ জেলা কোড কত
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম জেনে ময়মনসিংহ জেলা কোড কত না জানলে আপনি অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। ময়মনসিংহ জেলার কোড জানা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই জেলা কোডের সাহায্যে আপনি আপনার গন্তব্যে খুব সহজেই পৌঁছাতে পারেন। ময়মনসিংহ জেলার কোড খুব সহজেই যাতে আপনি জানতে পারেন তা হলো -
- ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার জেলা কোড ২২৪০ হবে।
- যদি আপনি ফুলবাড়িয়া জেলায় যেতে চান তাহলে এর কোড নাম্বার ২২১৬ হতে পারে।
- ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও এর কোড নাম্বার ২২৩৪।
- ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট এর কোড নাম্বার ২২৬১।
- কিছু ক্ষেত্রে এরিয়া কোড পাওয়া গেলেও পোস্ট কোড খুব সহজে পাওয়া যায় না।
- ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার উপকার্যালয় এর কোড নাম্বার ২২১০।
- ময়মনসিংহ জেলা থেকে ময়মনসিংহ সদর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর কাছাকাছি জেলা কোড ২২০২।
- ময়মনসিংহ জেলা এর ফুলপুর উপকার্যালয় এর কোড ২২৫০।
- ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি জানলে বুঝবেন ময়মনসিংহ জেলার এরিয়া কোড একটু আলাদা হয়ে থাকে।
- ময়মনসিংহ জেলা কোড কত জেনে যেমন ভালুকা ২২৪০, ফুলবাড়ীয়া ২২১৬, গফরগাঁও ২২৩০, শিবগঞ্জ ২২৩১ এবং গৌরীপুর ২২৭০।
ময়মনসিংহের জেলা বিখ্যাত পণ্য
ময়মনসিংহের জেলা বিখ্যাত পণ্য হিসেবে লাল চিনি খুবই জনপ্রিয়। এই লাল চিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা হতে খুব ভালোভাবে তৈরি করা হয়। যদি আপনি কখনো লাল চিনি খেয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে ময়মনসিংহের জেলা বিখ্যাত পণ্য এই লাল চিনি কতটা সুস্বাদু।
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম জেনে ময়মনসিংহ জেলার লাল চিনি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়। এছাড়াও পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পায়েস, নাড়ু, মোয়া, ক্ষীর এবং অন্যান্য আরোও সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। তবে এই লাল চিনি তৈরির জন্য এর একমাত্র কাঁচামাল হিসেবে আখ ব্যবহার করা হয়।
আখ হয়তো আপনি কখনো খেয়েছেন। এই আখের রস খুব ভালোভাবে আগুনে জ্বাল দিয়ে বিশেষ মাধ্যমে লাল চিনি তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয় বিভিন্ন মিষ্টান্ন এবং যেকোন ধরনের খাবার তৈরিতে লাল চিনির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। অল্প চিনি ব্যবহারের ফলেই খুব সহজে রান্নায় মিষ্ট ভাব চলে আসে।
আরও পড়ুনঃ পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বাক্য ও বক্তব্য
এছাড়াও লাল চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য এই লাল চিনি খাওয়া থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যেহেতু লাল চিনি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি, তাই এর প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ কাজ করতে পারে।
আখের নির্যাস থেকে প্রস্তুতকৃত এই লাল চিনি খুবই সুস্বাদু হওয়ায় যুগ যুগ ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। তাই ময়মনসিংহের জেলা বিখ্যাত পণ্য এখনো পর্যন্ত লাল চিনির চাহিদা অনেক বেশি। প্রিমিয়াম মানের সর্বোচ্চ গুণগতমান সম্পন্ন এই লাল চিনি খাওয়ার কারণে নিম্নমানের চিনির কোন ধরনের ঝুঁকি নেই।
ময়মনসিংহ কোন ফলের জন্য বিখ্যাত
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম এর সাথে ময়মনসিংহ জেলা যেই ফলের জন্য বিখ্যাত হয়ে থাকে, তা খুবই সুস্বাদু একটি ফল। হয়তো আপনারা কখনো এই ফল খেয়েও থাকতে পারেন। ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি জানা থাকলে যেই ফলগুলো ময়মনসিংহ জেলায় বিখ্যাত তার মধ্যে হলো -
- ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু ফল মিলে তৈরি এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল।
- ময়মনসিংহের বিখ্যাত ফলের মধ্যে এই তুঁত ফলের রং অনেকটা সবুজ আকৃতির হয়।
- এছাড়াও বিখ্যাত জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে মুক্তাগাছার মন্ডা খুবই সুস্বাদু।
- জাকির মিয়ার টক জিলাপি খেলে আপনার মন জুড়িয়ে যেতে পারে।
- এছাড়াও রয়েছে কাঠ কচুর বড়া যা একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
- এছাড়াও যদি কখনো চাপা শুটকির পুলি খেয়ে থাকেন, তাহলে সেটিও ময়মনসিংহ জেলার খুবই জনপ্রিয় খাবার।
- ময়মনসিংহ জেলা খই, মুড়ি, চিড়া এর জন্য অনেক বিখ্যাত।
- অনেকেই ভাতের বিকল্প হিসেবে এইগুলো খেয়ে থাকে।
- মজাদার মিষ্টি জাতীয় খাবার ময়মনসিংহ জেলায় পাওয়া যায়।
উপসংহার
এই পোস্ট থেকে ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম, ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি, ময়মনসিংহ জেলা কোড কত, ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষার হার কত, ময়মনসিংহের জেলা বিখ্যাত পণ্য এবং ময়মনসিংহ জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বিস্তারিত ভালো লাগলে পোস্টের নিচে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url