খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস

খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে খুব সহজে খুশকি দূর করতে পারবেন। দ্রুত মাথার খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস জানুন। যেকোনো বয়সের মানুষের খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস ব্যবহার করে খুব সহজে মাথার খুশকি চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারেন।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকে আমরা খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব।

সূচিপত্রঃ- খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস

ভুমিকাঃ

সুন্দর চুলের ক্ষেত্রে খুশকি একটি গুরুতর সমস্যা। খুশকি এমন একটি সমস্যা যা শুধুমাত্র শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় দেখা দেয় না, এখন অতিরিক্ত পরিবেশ দূষণের কারণে প্রায় সারা বছরই খুশকিতে ভোগেন অনেকেই। মাথার ত্বকে খুশকির কারণে অন্যান্য ত্বকের অবস্থা খারাপ হতে পারে। চুল পড়া, শুষ্ক ও রুক্ষ চুল এবং মাথার ত্বকে সংক্রমণের কারণ খুশকি। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা না নিলে মাথার সব চুল পড়ে যেতে পারে। ফলে টাক পড়া স্বাভাবিক। তাই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ টিপস জেনে নিতে হবে।

খুশকি কিঃ

খুশকি এক ধরনের চর্ম সমস্যা। খুশকি বলতে মাথার ত্বকের একটি বিশেষ অবস্থাকে বোঝানো হয়। খুশকি সাধারণত মাথার খুলির উপর চামড়াতে হয়ে থাকে। খুশকি হল মাথার ত্বকের চর্ম রেণু যা আঁইশের মত উঠে যায় এবং ঝরে পড়ে। বেশ ভেদে এই খুশকি আত্মসম্মান এবং সামাজিক সমস্যার কারণ হতে পারে। মাথায় খুশকি দীর্ঘদিন অবস্থান করলে সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা ত্বকের তৈলাক্ত ও চুলকানি দেখা দিতে পারে।

মাথায় খুশকির কেন হয়ঃ

খুশকি হওয়ার স্পষ্ট কোন কারণ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন যে খুশকি হওয়ার কারণ জিনগত ও পরিবেশগত হতে পারে। অন্যান্য মৌসুমের চাইতে শীতকালে খুশকির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা অনেকেই খুশকির কারণ হিসেবে অপরিচ্ছন্নতাকে দায়ী করে থাকি কিন্তু এটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়।
সাধারণত মাথার ত্বকের কোষগুলো অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে খুশকি হয়ে থাকে। খুশকির রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য এর লক্ষণ গুলোর উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করা হয়।মাথায় খুশকি হবেএটাই স্বাভাবিকতবে খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপসও রয়েছে। খুশকির সাধারণ কিছু কারণ গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
(১) মাথায় ঘন ঘন তেল দিলে চুল  চিটচিটে হয়ে পড়ে এবং খুশকি দেখা দিতে পারে।
(২) সঠিক সময়ে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে খুশকি হতে পারে।
(৩) স্ক্যাল্প  বেশি তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক হওয়ার ফলে খুশকি হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
(৪) মাথার ত্বকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস, একজিমা, ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন বা সংক্রমণ হলে সেগুলো খুশকির মত দেখা দিতে পারে।
(৫) ধুলাবালি বা ডাস্ট চুলের সাথে জমে খুশকি হতে পারে।
(৬) খুশকি হওয়ার অন্য একটি কারণ হলো পানি কম খাওয়া।
(৭) ভেজা চুল অনেকক্ষণ বেঁধে রাখলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং পরবর্তীতে ফাংগাল ইনফেকশনও হতে পারে।
(৮) অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো মানসিক দুশ্চিন্তা।

খুশকি দূর করার কার্যকরী টিপসঃ

সকল রোগ প্রতিকার করা সম্ভব নয়। তবে অনেক রোগই প্রতিরোধ করা সম্ভব। খুশকির ক্ষেত্রে সাধারণ কোন প্রতিকার নেই। তবে খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস রয়েছে। সাধারণত অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে খুশকি কিছুটা দূর করা সম্ভব। বয়সের দিক থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক খুশকির শিকার হন।
নিম্নে খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হলো।
নারকেল তেলঃ
খুশকি দূর করার ক্ষেত্রে নারিকেল তেল খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মাথায় নারিকেলের তেল দিলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। এবং চুলের গোড়ায় মশ্চারাইজিং করার মাধ্যমে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। নারিকেল তেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকার কারণে খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক এর বিরুদ্ধে কাজ করে। ৩৪ জন ব্যক্তির উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়, যাতে দেখা গিয়েছে, নারিকেল তেল একজিমার মত চর্মরোগকেও দমন করতে সক্ষম। সপ্তাহে অন্তত দুইবার চুলের গোড়ায় নারিকেল তেল মালিশ করার মাধ্যমে খুশকি থেকে দ্রুত উপকার পেতে পারেন।
পেঁয়াজের রস থেরাপিঃ
চুলের খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস গুলোর মধ্যে পেঁয়াজ থেরাপি খুব কার্যকর। মাথার খুশকি সমস্যা দূর করার জন্য প্রয়োজনমতো পেঁয়াজ ভালোভাবে বেটে এক জব পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর পেঁয়াজের রস মেশানো পানি মাথায় ভালোভাবে মালিশ করুন। নিয়মিত সপ্তাহে অন্তত দুইবার পেঁয়াজের রস মিশানো পানি মাথায় ভালোভাবে মালিশ করলে খুশকি সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডা ব্যবহার করা খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম সহজ টিপস। রান্নাঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেকিং সোডা। বেকিং সোডা প্রায়শই বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এই বেকিং সোডা খাবার ছাড়াই আপনার খুশকির সমস্যা নিরাময়ে কার্যকর। বেকিং সোডা টেস্টটিউব পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাককে মেরে ফেলতে সক্ষম।
শরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত ৩১ জনের ওপর পরিচালিত অন্য একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এ সকল রোগীদের গোসলের পানিতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে বলা হয়। গোসলের পানিতে বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে সোরিয়াসিস আক্রান্ত রোগীরা তিন সপ্তাহ পরে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। গোসলের পানিতে ব্যবহার ছাড়াও ভেজা চুলে সরাসরি বেকিং সোডা লাগিয়ে ভালো করে মাসেজ করতে হবে। এবং এক-দুই মিনিট অপেক্ষা করার পরে সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
টকদইঃ
খুশকি দূর করার ক্ষেত্রে টক দই এর ব্যবহার বেশ কার্যকরী। মাথার চুলে টক দই ভালোভাবে মেসেজ করে ১০ মিনিট রেখে দেওয়ার পরে ভালো করে ধুয়ে নিন।
লেবুর রসঃ
খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস গুলোর মধ্যে লেবুর রস এর ব্যবহার আপনাকে ভালো ফলাফল এনে দিতে পারে। এক্ষেত্রে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস প্রয়োজনমতো পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর লেবুর রস মেশানো পানি মাথাতে দুই থেকে পাঁচ মিনিট ধরে ভালোভাবে মেসেজ করুন। এরপর সাবান বা শ্যাম্পু অথবা কন্ডিশনার দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার এইভাবে লেবুর রস চুলে ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরাঃ
মাথার চুলে এলোভেরার ব্যবহার খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং ইফেক্টিভ। অ্যালোভেরা তে স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুল ভালো রাখার প্রয়োজনীয় অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলো চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে খুব কার্যকর। আমরা জানি বিভিন্ন প্রসাধনে তৈরির ক্ষেত্রেও এই অ্যালোভেরা ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন চর্মরোগ, পোড়া স্থান, সরিয়াসিস এবং ঘা এর চিকিৎসায় এলোভেরা ব্যবহৃত হয়। খুশকি দূর করতে অ্যালোভেরার ব্যবহার খুবই কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এবং বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে অ্যালোভেরা বিভিন্ন ধরনের খুশকি-সৃষ্টিকারী ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করে। অ্যালোভেরা প্রদাহরোধী হিসাবে কাজ করে যা টেস্টটিউব পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।
রিঠাঃ
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চুলকে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে রিঠার ব্যবহার বেশ উপকারী। চুলের খুশকি সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রেও এই রিঠা খুব কার্যকর। রিঠা পাউডার বা রিঠা সিদ্ধ পানি ভালোভাবে মাথায় চুলের সাথে মেসেজ করে এক ঘন্টা মত রেখে দিন। এরপর সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার নিয়মিতভাবে রিঠা পাউডার বা রিঠা সিদ্ধ পানি মাথায় ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাবেন।
মেথিঃ
খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস টিপস গুলোর মধ্যে মেথি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মেথি মাথার খুশকি দূর করা, চুলকে উজ্জ্বল এবং সতেজ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রয়োজনমতো মেথি পানিতে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে সেই ভেজানো মেথি ভালোভাবে বেটে নিন। মেথি ভেজানো পানি ফেলে দেওয়া যাবে না।
বাটা মেথি মাথার চুলের সাথে ভালোভাবে লাগিয়ে মেসেজ করুন। মেসেজ করার পরে প্রায় এক ঘণ্টা মতো রেখে তারপরে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার মেথি ভেজানো পানি দিয়ে মাথার চুল গুলো ধুয়ে নিন। এবং শেষে সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এই পদ্ধতিতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন।

খুশকির সমস্যা এড়াতে আরো কিছু উপায়ঃ

(১) মাথায় অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার বন্ধ করুন।
(২) যে শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন সেটি কার্যকরী না হলে শ্যাম্পু বদলে ফেলুন। অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু যেমন- জেডিপিটি অর্থাৎ জিংক পাইরিথিওন (Zinc pyrithione) যুক্ত শ্যাম্পু সপ্তাহে একদিন করে একমাস ব্যবহার করুন। এই শ্যাম্পু ব্যবহারে উপকৃত না হলে  ১ বা ২ ভাগ কিটোকোনাজলযুক্ত (Ketoconazole) শ্যাম্পু আগের নিয়মে ব্যবহার করতে পারেন।
(৩) আপনার মাথার ত্বক বা  স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে শ্যাম্পু ব্যবহারের পূর্বে অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন।
(৪) খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস সবচেয়ে সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ হল চুলকে পরিষ্কার রাখা। তাই যত সম্ভব চুলকে সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। যারা প্রায়ই ঘরে থাকেন তারা একদিন পরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন। এবং যারা বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত বাইরে যাতায়াত করেন যার ফলে আপনার মাথায় ডাস্ট জমে তাদের প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
(৫) খুশকি থেকে মুক্তি পেতে কুসুম গরম নারিকেল তেলের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে সেই তেল তুলা বা কটন বাড দিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। এভাবে এক ঘন্টা মত রেখে দিন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ১০ মিনিট মত মাথা জড়িয়ে রাখুন। এই পদ্ধতি পরপর তিনবার ব্যবহার করুন। এরপর কোয়ালিটি ঠান্ডা পানিতে অথবা বরফ মেশানো পানিতে ভিজিয়ে একই পদ্ধতিতে পাঁচ মিনিট মতো জড়িয়ে রাখুন। এরপর চোলের গোড়ায় হেয়ার প্যাক লাগিয়ে এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি একটু জটিল হলেও খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস গুলোর মধ্যে কার্যকরী।
(৬) এছাড়াও আপনি চা এর ঘন লিকার এর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে নিন। এভাবেও আপনি খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
(৭) খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস গুলোর মধ্যে নিমপাতা খুব ভালো কাজ করে। নিম গাছকে প্রকৃতির ডাক্তার বলা হয়। নিম গাছের নানাবিধ ঔষধি গুন রয়েছে। চার কাপ মত পানিতে একমুঠো নিম পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপরে ফোটানো পানি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। সেই পানি দিয়ে মাথা এবং চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে নিয়মিত দুই থেকে তিনবার এই পানি ব্যবহার করলে খুব দ্রুত আপনি খুশকি থেকে রেহাই পাবেন।
(৮) আমলকি পাউডার পানিতে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মাথার ত্বকে বা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু বা সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে আপনি খুশি থেকে দূরে থাকতে পারেন। এছাড়াও দুইটি বা তিনটি আমলকি ভালোভাবে বেটে পেস্ট করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথার চুলে এবং ত্বকে লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করুন এবং সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এইভাবে ব্যবহার করুন তাহলে মাথার খুশকি পালাবে।
(৯) পরিবারের কারো খুশি হলে তার ব্যবহৃত চিরুনি,, ব্রাশ তোয়ালে এবং বালিশের কাভার অথবা তার ব্যবহৃত অন্যান্য কাপড়-চোপড় নিয়মিত পরিষ্কার করুন। একজনের জিনিস অন্যজন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং চিকন দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন।
(১০) যারা চুলে কালার করেন তারা লেবুর রস এবং টক দই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। মাথায় লেবুর রস ও টক দই সারারাত লাগিয়ে রাখলে চুল ভালো থাকে এটি  যুক্তি যুক্ত নয়। এটি করলে উপকারের চাইতে অপকার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
(১১) যারা অলস প্রকৃতির বা নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে অপারক তারা ভাল কোন সেলুনে গিয়ে মাসে প্রায় দুইবার হেয়ার ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার স্পা কিংবা প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
(১২) চুলকে শাইনি এবং সিল্কি দেখানোর জন্য আমরা অনেকেই বিশেষ করে মেয়েরা চুলে মেহেদী ব্যবহার করে থাকে। তবে এই মেহেদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকটি লক্ষ্য করা উচিত। চুলের গোড়ায় মেহেদী জমে খুশকি দেখা দিতে পারে। তাই চুলে মেহেদী ব্যবহার করার পরে অবশ্যই ভালোভাবে চুল এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার করা উচিত।
কোনভাবেই খুশকির সমস্যা দূর না হলে বা প্রকটভাবে দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

উপসংহারঃ

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন এবং খুশকি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আমাদের আলোচিত খুশকির সমস্যা দূর করতে সহজ কিছু টিপস গুলোর মধ্যে যেটি আপনার ত্বকের সাথে উপযুক্ত সেই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। 25790

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url