রাজশাহী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, যার ইতিহাস বেশ পুরনো ও সমৃদ্ধ। রাজশাহীর ইতিহাস অনেক পুরোনো, যার মূল শিকড় প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সময়ে স্থাপিত। রাজশাহীর গৌরবময় অতীত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
আরো পড়ুনঃ বজ্রপাতের সময় কোথায় থাকা উচিত
প্রাচীনকাল:
রাজশাহী অঞ্চলের প্রাচীনতম ইতিহাস প্রাচীন বাংলার সাথে জড়িত। প্রাচীন গৌড় রাজ্যের অংশ হিসাবে এই অঞ্চলটি বিখ্যাত ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩২০ থেকে ১৮৫ অব্দ পর্যন্ত মউর্য সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল এই অঞ্চল।
মধ্যযুগ:
মধ্যযুগে রাজশাহী অঞ্চলটি গৌড় ও বঙ্গ রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত ছিল। পাল রাজবংশ ও সেন রাজবংশের শাসনামলে এই অঞ্চলটি বেশ উন্নত ছিল। মধ্যযুগে মুসলিম শাসনের অধীনে এ অঞ্চলে বিভিন্ন মসজিদ ও ইমারত নির্মাণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ময়মনসিংহ জেলার গ্রামের নাম - ময়মনসিংহ জেলার থানার সংখ্যা কয়টি
মুঘল যুগ:
১৬০০ সালের দিকে মুঘল শাসনের অধীনে রাজশাহী গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠে। মুঘল সাম্রাজ্যের শাসনকালে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি উন্নত হয়। তারা স্থাপত্যশিল্পে অবদান রেখে গেছে, যা এখনও রাজশাহীতে বিদ্যমান।
ব্রিটিশ শাসন:
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করে। রাজশাহী তত্কালীন রংপুর বিভাগের অংশ ছিল। ব্রিটিশ শাসনের সময়ে রাজশাহী শহরের উন্নয়ন ঘটে এবং এটি একটি প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে ওঠে। ১৮২৫ সালে রাজশাহী জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয়।
আধুনিক যুগ:
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে, রাজশাহী একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র ও কৃষি অঞ্চলে পরিণত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ, ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি এ শহরের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
আরো পড়ুনঃ বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার
ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা:
রাজশাহীতে অনেক ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বড়কুঠি, পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাঘা মসজিদ, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ইত্যাদি। এই স্থাপনাগুলি রাজশাহীর ঐতিহাসিক গৌরব ও স্থাপত্য কীর্তির সাক্ষ্য বহন করে।
রাজশাহী শহরের ইতিহাস সম্পর্কে এই সংক্ষিপ্ত বিবরণটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধির পরিচয় দেয়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url